FAQ About SHONGJOGyou (সংযোগইউ)
সংযোগইউ কি?
SHONGJOGyou (সংযোগইউ) একটি ডিজিটাল ফিন্যান্স যোগাযোগ ব্যবস্থা যা সকল শ্রেণীর গ্রাহকদেরকে সংযুক্ত করবে সকল প্রকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের সার্ভিসের সাথে। সর্বোপরি একটি ই-ফিন্যান্স সার্ভিস সলিউশন হিসেবে কাজ করবে।
সংযোগইউতে কি কি সার্ভিস পাওয়া যাবে?
সংযোগইউ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং তাদের আওতাভুক্ত সকল সার্ভিসকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসছে। এতে করে ব্যাংক, এনজিও, কো-অপারেটিভ, মাইক্রো- ফিন্যান্স, ফিন্যান্স কোম্পানি এবং এসএমই-সহ অনান্য সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সার্ভিস অনলাইনে আবেদন এবং সকল প্রসেস সম্পন্ন করতে পারবেন।
সংযোগইউ ব্যবহারের সুবিধাসমূহ কি কি?
গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের খণ আবেদনের পাশাপাশি ঘরে বসেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল সার্ভিসের সন্ধান, প্রতিষ্ঠানের শাখা খুঁজে পাওয়া, আর্থিক সার্ভিস তুলনা এবং যাচাই করার সুবিধা।
আমি কিভাবে গ্রাহক হিসেবে সংযোগইউতে রেজিস্ট্রেশন করবো?
রেজিস্ট্রেশন করতে প্রথমে ভিজিট করুনঃ সংযোগইউ ওয়েবসাইট। তারপর “Register Now” বাটনে ক্লিক করে প্রদত্ত ফর্মে আপনার সঠিক তথ্য প্রদান করুন এবং ক্যাটিগরি নির্বাচনের মাধ্যমে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন। এরপর প্রোফাইল অপশনে গিয়ে ইন্টারেস্ট বাছাই করে “Submit” অপশনে ক্লিক করুন। এরপর হোম বাটনে ক্লিক করুন।
আমি সংযোগইউ এর সার্ভিসসমূহ কিভাবে পাবো?
রেজিস্ট্রেশন শেষে আপনার এলাকার সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকাসমূহ আপনার হোম ফিডে দেখানো হবে। উক্ত তালিকা থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সার্ভিসটি বাছাই করে নিতে পারবেন ।
সংযোগইউ (SHONGJOGyou) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা কবে এবং কোথায় শুরু হয়?
আর্থিক সেবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সংযোগইউ যাত্রা শুরু করলো চট্টগ্রামে |
সকল প্রকার আর্থিক পণ্য ও সেবা এখন গ্রাহকের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে "SHONGJOGyou (সংযোগইউ)"। গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে সহজ যোগাযোগ স্থাপন এবং এর মাধ্যমে গ্রাহকগণ যেমন নিকটস্থ সঠিক আর্থিক সার্ভিসটি সহজে খুঁজে পাবে, অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুঁজে পাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের।
Channel 24 News Link: www.youtube.com/watch?v=5rA0QZaZlaM
#SHONGJOGyou #fintechstartup #accesstofinance #efinances #digitalfinance #financeecosystem #doorstepfinance
আর্থিক খাতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা কারণ কি?
বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটিরও বেশি। অন্যদিকে সম্ভাব্য আর্থিক সার্ভিস ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ১২ কোটির কাছাকাছি। ইন্টারনেটে গ্রাহক সংখ্যা ত্বরান্বিত হলেও আর্থিক সার্ভিসে অর্ধেকের বেশি গ্রাহক সংখ্যা এখনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে করে গ্রাহক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান উভয় পক্ষ থেকে যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়। যার ফলে গ্রাহক যেমন সঠিক আর্থিক সার্ভিস খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তেমনি ভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ও যথাযথ গ্রাহক খুঁজে পায় না।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান কি?
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলতে ব্যাংক, নন-ব্যাংক, এনজিও এই ধরনার প্রতিষ্ঠানসমূহকে বুঝিয়ে থাকে। সাধারনত গ্রাহকদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সহায়ক হিসেবে এ সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে, ঋণ, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ইত্যাদির মাধ্যমে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিচ্ছিন্নতা
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উপরে বলাই হয়েছে দেশে ১২ কোটি সম্ভাব্য গ্রাহক থাকলেও সক্রিয়ভাবে মাত্র ৬ কোটি গ্রাহক এসকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত আছেন। বাকি প্রায় ৬ কোটি গ্রাহক এ সকল প্রতিষ্ঠানের নাগালের বাইরেই বলা চলে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবার মোট জনগনের ৪০ শতাংশ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে থাকে। অন্যদিকে প্রায় ৩০ শতাংশ জনগণ মিডল ক্লাস বা মধ্যবিত্ত বলা চলে। এক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবার জন্য জনসাধারন যেমন সঠিক আর্থিক সার্ভিসের খোঁজ পাচ্ছে না অন্যদিকে গ্রাহকও সঠিক আর্থিক সার্ভিসটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে তৈরী হচ্ছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা।
সঠিক আর্থিক সার্ভিসের অভাব
যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতার কারনে গ্রাহক সময়মত জানতে পারেন না কোন ধরনের আর্থিক সার্ভিসটি তার জন্য সঠিক এবং সময় উপযোগী হবে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক আর্থিক সার্ভিসের অভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ফলে সার্ভিসটি আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার বিপরীতে গ্রাহকদের আর্থিক জীবন করে তুলে অসচ্ছল। এছাড়াও সঠিক আর্থিক সার্ভিস যাচাই করা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজ নেয়াটা সময়সাধ্য ব্যাপার। এতে করে সময়মত আর্থিক সার্ভিস না পেয়ে গ্রাহক হতে পারেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ।
সঠিক আর্থিক সার্ভিস বাছাই এবং সহজ আর্থিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্য নিয়ে আসলো “সংযোগইউ (SHONGJOGyou)”। সংযোগইউর মাধ্যমে ফিন্যান্স সার্ভিসের যে কোন তথ্য বা সেবা গ্রহন করা সহজেই সম্ভব। আর্থিক পরিসেবা গ্রহনের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন, ভার্চুয়াল মিটিং, ডকুমেন্ট ভ্যারিফিকেশন করা, আর্থিক সার্ভিসের মধ্যে তুলনা করে সেরা সার্ভিস বাছাইসহ আরও অনেক সুবিধা থাকছে একই প্লাটফর্মের মধ্যে। আপনার এলাকার সকল আর্থিক সার্ভিসের ব্যাপারে জানতে ও খুঁজে পেতে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
সঠিক আর্থিক যোগাযোগের ফল কি কি?
সঠিক আর্থিক সমস্যার মুলে হলো যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতা। যোগাযোগের এই বিচ্ছিন্নতার কারনে বেশিরভাগ গ্রাহক যেমন খুঁজে পায় না সঠিক আর্থিক সার্ভিসটি, অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হারায় তাদের যথাযথ গ্রাহকদের। এতে করে দেশের অর্থনীতিতে একটি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুই ধরনের প্রভাব পড়ছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা:
মূলত যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রাহকদের সরাসরি যোগাযোগের তেমন কোন সঠিক পন্থা নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারনে একজন গ্রাহক সঠিকভাবে জানতে পারেন না কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার আর্থিক সমস্যা সমাধান করবে। ফলস্বরুপ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য গ্রাহক খুঁজে পায় না। এছাড়া পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে গ্রাহকের মাঝে এক প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় সঠিক আর্থিক সার্ভিস বাছাই করার জন্য। এতে করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক আর্থিক সার্ভিসটি গ্রহণে গ্রাহক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এ বিষয়গুলো পূর্বের আর্থিক সার্ভিস নিয়ে বিড়ম্বনা, আর্থিক সার্ভিস পেতে বিড়ম্বনা এই বিভাগুলোয় বলা হয়েছে।
ভুল সিদ্ধান্ত:
ভুল আর্থিক সার্ভিসের সিদ্ধান্তের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে গ্রাহক এক ঋন গ্রহন করতে গিয়ে অন্য ঋণ গ্রহণ করে ফেলছেন । ফলে আর্থিক সেবা গ্রাহকের জন্য হয়ে দাঁড়ায় বোঝার মতো। সুতরাং সঠিক আর্থিক সার্ভিস এ সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায়। সঠিক আর্থিক সার্ভিসের মাধ্যমেই গ্রাহকদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করা সম্ভব।
সঠিক আর্থিক সার্ভিসের সুবিধা:
অন্যদিকে সঠিক আর্থিক সার্ভিসের সুবাদে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের যথাযথ গ্রাহক খুঁজে পাবে এবং সর্বপরি সার্ভিসের মান বৃদ্ধি পাবে। এতে করে গ্রাহক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এছাড়াও, দেশের সর্বপরি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে এবং বর্তমান জিডিপি এর তুলনায় সম্ভাব্য জিডিপি হবে দ্বিগুণেরও বেশি। এতে করে চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, গৃহিনী, শিক্ষার্থীসহ যে কোন শ্রেণী পেশার মানুষ আর্থিকভাবে উপকৃত হবে। সর্বপরি অর্থনীতির চাকা আরও বেশি গতিশীল হবে।
সঠিক আর্থিক সার্ভিস বাছাইকরনের এবং সার্ভিস গ্রহনের সকল সুবিধায় সমৃদ্ধ “সংযোগইউ(SHONGJOGyou)”। অনলাইন ই-ফিন্যান্স সার্ভিস হিসেবে সংযোগইউ গ্রাহককে সাহায্য করবে সঠিক আর্থিক সার্ভিস বাছাই এবং গ্রহনের। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন, ভার্চুয়াল মিটিং, ডকুমেন্ট ভ্যারিফিকেশন করা, আর্থিক সার্ভিসের মধ্যে তুলনা করে সেরা সার্ভিস বাছাইসহ আরও অনেক সুবিধা থাকছে একই প্লাটফর্মের মধ্যে।
আপনার এলাকার সকল আর্থিক সার্ভিসের ব্যাপারে জানতে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং খুঁজে নিন আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী উপযুক্ত আর্থিক সার্ভিসটি। রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করুন: https://shongjogyou.com/sign-up
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি কি?
আমাদের মাথায় যখনই ব্যবসা করার চিন্তা আসে তখনি সবার আগে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় তা হলো, যতটা সম্ভব অল্প পুঁজিতে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? গুগল- ইন্টারনেটে অসংখ্যবার সার্চ হয় এই প্রশ্নটি। নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী, উদ্যোক্তা হওয়ার মনোভাবকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে একটি স্বাধীন পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতে সবারই ভালো লাগে।
ছোট পরিসরে সুপার শপ :
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছোট পরিসরে সুপার শপ একটি দারুণ লাভজনক ব্যবসায়িক আইডিয়া। এর জন্য ব্যস্ত,আবাসিক অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপযুক্ত। ব্যবসায় সহায়তার জন্য এক বা দু’জন কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারেন। ৫ থেকে ১০ লক্ষ্ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি শুরু করা যাবে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের ঘরে বসে কেনাকাটা করার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে, তাই গতানুগতিক লাভের চেয়ে আরেকটু বেশি লাভ করতে হোম ডেলিভারির প্রসেস রাখা যেতে পারে।
অনলাইন বিজনেস:
ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে কোন দোকান ছাড়া একটি দারুণ ব্যবসার আইডিয়া হল অনলাইনে গার্মেন্টস আইটেম বিক্রি করা। গার্মেন্টস আইটেমের মধ্যে মেয়েদের জামা, টি-শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, আন্ডার গার্মেন্টস ইত্যাদি রয়েছে যেগুলো অনলাইনে মার্কেটিং করে খুব সহজেই বিক্রি করা যায়।
করোনা-কালীন সময়ে অনলাইন বিজনেস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে নারীদের জন্য এই ব্যবসা খুবই উপযোগী। খুবই কম পুঁজিতে যে কেউ ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজের পণ্যের প্রচার করতে পারেন এবং ভোক্তার নিকট পৌঁছে দিতে পারেন খুব সহজেই। অনলাইনে যে কোন পণ্যের ব্যবসা করা যায়। এই সেক্টরে বর্তমানে প্রচুর উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা যেখানে কোন পুঁজি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। এটি মূলত অন্য কোন কোম্পানির পণ্য নিজেই মার্কেটিং করে বিক্রি করিয়ে কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাওয়া যা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে।
ফ্যাশন হাউস:
ফ্যাশন হাউস দিয়ে ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে এই লাভজনক এবং বেশ চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসাটি শুরু করার জন্য একটি নিখুঁত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রয়োজন। সুপার শপ ব্যবসায়ের মতো এই বিজনেস শুরু করতে, আপনার বিনিয়োগ কোটি বা এর উপরে লাগতে পারে ,কারণ উপযুক্ত জায়গার এডভান্স অনেক বেশি পরিমানে হয়ে থাকে। তবে দোকানের অবস্থান এই ব্যবসায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি, তাই শুরু করার জন্য আপনাকে একটি সঠিক অবস্থান খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি যদি সোশাল মিডিয়াতে সঠিকভাবে মার্কেটিং করা যায়, তবে তা হবে আরও লাভজনক।
ফাস্ট ফুড অথবা ছোট স্কেলে রেস্তোরাঁ:
বলা হয়ে থাকে, রেস্টুরেন্ট বিজনেস হলো এভারগ্রিন বিজনেস। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ তরুণ উদ্যোক্তাই এই ব্যবসায় আগ্রহী। ঢাকার মত বড় শহরগুলোতে তো আছেই, এর বাইরে মফস্বল এলাকাগুলোতেও ফাস্ট ফুড বা ছোট আকারের রেস্তোরাঁয় এখন কাস্টমারের যাতায়াত অনেক বেশি। তাই যদি কেউ নির্দিষ্ট পরিমাণ পুঁজি দিয়ে লাভজনক কিছু শুরু করতে চায়, তবে রেস্টুরেন্টের কথা ভাবতে পারে। তবে এই ব্যবসায় সফলতা পেতে হলে নিখুত মনিটরিং প্রয়োজন হয় এবং সর্বোচ্চ মান ও সর্বনিম্ন মূল্য এই ব্যবসার অন্যতম মূলধন।
ব্যবহৃত পণ্য ক্রয় এবং বিক্রয়:
বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতেই ব্যবহৃত পণ্য ক্রয় এবং বিক্রয় একটি স্বল্প মূল্যের ব্যাবসায়িক ধারণা। ব্যবসাটি সহজ, আপনি ব্যবহৃত পণ্য কিনে কিছুটা মেরামত করে বিক্রি করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, টিভি, গাড়ি, আসবাবপত্র ইত্যাদি এই ব্যবসায়ের পণ্য।
গাছ কেনা বেচা:
মানুষের শখের তালিকায় একেবারে শুরুতে আছে বাগান করা। ছাদ বাগান, বারান্দা বাগান অথবা ইনডোর গার্ডেনিং অনেকেই পছন্দ করেন। ফুল-ফল গাছ থেকে শুরু করে ছোট ছোট বাহারি গাছ যেমন খাবারে ব্যবহারের প্রয়োজন মেটায়, তেমনি পরিবেশ ও মনকে সতেজ রাখে। তাই চারাগাছের ব্যবসা বর্তমানে একটি বেশ লাভজনক। যে কেউ চাইলে অনালাইনে মার্কেটিং করে বাড়িতে বসেই শুরু করতে পারেন এই লাভজনক ব্যবসাটি।
উপরোক্ত তথ্যগুলো জানতে পেরে অনেকে উৎসাহী হলেও হয়ত তাদের মনে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন নিয়ে চিন্তার উদয় হবে। তবে চিন্তার কোন কারন নেই। এ সকল বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ দিতে আছে সংযোগইউ। ব্যবসার আইডিয়া, ব্যবসার লোন এবং এই বিষয়ক উপযুক্ত যেকোন তথ্য পেতে আজই সংযোগইউয়ের সাথে যুক্ত হোন এই লিংকে গিয়েঃ https://shongjogyou.com/sign-up
কীভাবে হবে সঠিক আর্থিক সমাধান?
আর্থিক খাতে যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতা-র জন্য বেশিরভাগ গ্রাহক সঠিক আর্থিক সমাধান খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন । গ্রাহক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে যে দুরত্ব রয়েছে তার জন্য সঠিক আর্থিক সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ধীরগতির ফলে গ্রাহক আর্থিক সার্ভিসের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। সঠিক আর্থিক সমাধানের জন্য কিছু সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া এক্ষেত্রে অতীব জরুরী।
বিচ্ছিন্নতার চিত্র :
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রাহকদের যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতার প্রমান হিসেবে বলাই যায় দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটি হলেও অর্ধেকের বেশি গ্রাহক এ খাতে সক্রিয় নন। এছাড়া আর্থিক সার্ভিসের ধীরগতির কারনে সঠিক আর্থিক সার্ভিসটি পেতে গ্রাহকদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিমসিম খেতে হয়। এতে করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহহীনতা কাজ করে গ্রাহকদের মধ্যে। এছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ গ্রাহকদের কাছে পৌছাতে পারে না ফলে গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে অবগত নন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহকদের মধ্যকার ব্যবধান কমাতে বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিংবা অনলাইনে সার্ভিস বিবরণী থাকলেও সে সকল সার্ভিস গ্রহণের তেমন কোন সুবিধা নেই। এছাড়াও লোন বা এ সম্পর্কিত সার্ভিসগুলোর বেশিরভাগ সার্ভিসের পর্যাপ্ত তথ্য ইন্টারনেটে তেমন পাওয়া যায় না। এতে করে গ্রাহকের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে।
পরিবর্তনের ধারা :
এমতাবস্থায় যদি এমন হতো সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব সার্ভিস একই প্লাটফর্মের মধ্যে থাকলে গ্রাহকদের মধ্যে সার্ভিস বাছাই করার স্বাধীনতা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। এছাড়াও যদি আর্থিক সার্ভিস সক্রান্ত সকল কার্যক্রম যেমন, কোন সার্ভিসের আবেদন হতে শুরু করে, ডকুমেন্টস প্রদান, ভ্যারিফিকেশন ইত্যাদি খুব সহজেই সম্পাদন করা সম্ভব হয় তাহলে গ্রাহক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উভয়য়ের সময় সাশ্রয় সম্ভব। এতে করে গ্রাহকদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুঁজে পাবে তাদের যথাযথ গ্রাহকদের।
এই পরিবর্তনের ধারা সামনে রেখে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সব সার্ভিসগুলোকে একই প্লাটফর্মে এনেছে “সংযোগইউ (SHONGJOGyou)”। সংযোগইউর মাধ্যমে আর্থিক সার্ভিস সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব অনলাইনেই। ঘরে বসেই নিকটস্থ আর্থিক সার্ভিস এবং প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব।
আপনার এলাকার সকল আর্থিক সার্ভিসের ব্যাপারে জানতে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং খুঁজে নিন আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী উপযুক্ত আর্থিক সার্ভিসটি। রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করুন: https://shongjogyou.com/sign-up
Salary Loan কিভাবে নিবেন?
লোনের প্রয়োজনে চাকুরিজীবিরা বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি ব্যাংক সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে পারবেন গ্রাহকদের ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী। চাকুরিজীবিদের আয় সীমিত হবার কারনে অনেক প্রয়োজনে অথবা জরুরী দরকারে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আছে স্যালারি লোন সুবিধা।
Salary Loan কি?ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহজ শর্তাদি এবং প্রতিযোগিতামূলক সুদের হারে আপনার মাসিক বেতনের বিপরীতে যে লোন দেয় তাই হচ্ছে স্যালারি লোন। সীমিত আয়ের এই পেশাজীবিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য এবং খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যাংক যেমন, সোনালী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, আএফআইসি ব্যাংকসহ আরো অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্যালারি লোন দিয়ে থাকছে। কেবলমাত্র চাকুরীজীবিদের এই লোন প্রদান করা হয়। পার্সোনাল কম্পিউটার, ফ্রিজ, টেলিভিশন, আসবাবপত্র,হাঁস-মুরগী পালন ,ক্ষুদ্র ব্যবসা বিবিধ আয়বর্ধক বা বিবিধ জরুরী প্রয়োজন ভিত্তিক কার্যক্রম করার জন্য চাকুরিজীবিদের ব্যাংক সহজ শর্তে এই ঋণ দিয়ে থাকে।
Salary Loan প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান?ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চাকুরিজীবিদের ব্যাংক সহজ শর্তে স্যালারি লোন দিয়ে থাকে। যেমন সোনালী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ,আএফআইসি ব্যাংকসহ আরো অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্যালারি লোন দিয়ে থাকে। সরকারি, আধা সরকারি, স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিজীবী যাদের সর্বনিম্ন মাসিক আয় ৩০,০০০ টাকা বা তার অধিক হয় তারাই স্যালারি লোনের আবেদন করতে পারবে। কোন ব্যাক্তি চাকুরিজীবী নন কিন্তু বাড়িভাড়া পান এমন ব্যাক্তিরা ও এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে মাসিক ভাড়া ৩০,০০০ টাকা বা তার অধিক হতে হবে। যেকোন ব্যক্তি ও এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে তার মাসিক আয় হতে হবে আনুমানিক ৫০,০০০ টাকা। ঋণের পরিমান সর্বনিম্ন ৩০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত। স্যালারি লোনের মেয়াদ ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। মেয়াদের উপর ভিত্তি করে মাসিক কিস্তির টাকা নির্ধারিত হবে। স্বল্প মেয়াদে ঋণ নিলে সুদের হার কম হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে ঋণ নিলে সুদের হার বেশি পরিলক্ষিত হয়। স্যালারি লোন ১২ শতাংশ হারে ( সরল সুদ) প্রদান করে যা পরিবর্তনযোগ্য।
Salary Loan গ্রহণকারী:বেতনভূক্ত সকল সরকারি বেসরকারি চাকুরিজীবিরাই সাধারনত স্যালারি লোন নিয়ে থাকে। স্যালারি লোন গ্রহনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়সসীমা ২১ বছর থেকে ৬৫ বছর হতে হবে। বেতনভুক্ত সকল সরকারি বেসরকারি চাকুরিজীবী, কর্পোরেশন কর্মকর্তা, এমপি, নন এমপি,স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসার সকল শিক্ষক স্যালারি লোন নিতে পারবে।
- বেতনযুক্ত কর্মকর্তা (সরকারি ব্যতীত): স্বনামধন্য সংস্থাগুলোতে সর্বনিম্ন এবং নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা অভিজ্ঞতার।
- নূন্যতম ১ বছর এবং আবেদনের সময় অবশ্যই স্থায়ী ও নিশ্চিত কর্মী হতে হবে।
- বেতনযুক্ত কর্মকর্তা (সরকারি): যোগদানের তারিখ থেকে নূন্যতম ১ বছর
- পে- রোল গ্রাহকদের জন্যঃ নূন্যতম ৬ মাসের পরিষেবা অভিজ্ঞতা এবং আবেদনের সময় অবশ্যই স্থায়ী ও নিশ্চিত কর্মী হতে হবে। একই সময়ে নূন্যতম ৩ মাসের বেতন অবশ্যই টিবিএল একাউন্টের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
১. আবেদনকারী ও গ্যারান্টার উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
২. আবেদনকারীর ভিজিটিং কার্ড থাকতে হবে।
৩. আবেদনকারীর অফিস আইডি কার্ড থাকতে হবে।
৪. সর্বোচ্চ ১২ মাস সর্বনিম্ন ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ক্লিয়ার থাকতে হবে
৫. সর্বশেষ ট্যাক্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৬. স্যালারি সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৭. আবেদনকারী ও গ্যারান্টারের সদ্য তোলা রঙিন ছবি থাকতে হবে
৮. বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল যেমন ( গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, ওয়াসা বিল) ইত্যাদির ফটোকপি থাকতে হবে।
৯. ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে তাহলে আবেদনের সময় দিতে হবে)।
১০. EMI তথ্য রয়েছে এমন ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
১১. স্যালারি স্লিপ ক্লিয়ার থাকতে হবে।
১২. উপযুক্ত জামিনদার থাকতে হবে।
১৩. অন্যান্য আয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট যদি থাকে।
১৪. ই- টিন সাটিফিকেট থাকতে হবে।
১৫. ১ বছরের সেবা আয়ের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
১৬. আবেদনকারীকে এলপিআর এ যাবার তারিখ পূর্ণ হতে কমপক্ষে ৩ বছর চাকরি থাকতে হবে।
১৭. পূর্বের লোন গৃহীত লোন থাকলে CIB রিপোর্ট ভালো থাকতে হবে। অর্থাৎ CIB সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এই সকল আর্থিক সার্ভিসের সমাধান নিয়ে কাজ করছে সংযোগইউ। সব ধরণের গ্রাহকেরা চাইলেই তার নিজ এলাকার যেকোন রকমের আর্থিক সার্ভিসটি খুজে নিতে পারবে সংযোগইউ (SHONGJOGyou) প্লাটফর্মে এবং আরো পারবে সকল ধরণের প্রসেস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ঘরে বসে অনলাইনে। অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পারবে সহজেই তাদের সার্ভিসটি সঠিক ও উপযুক্ত গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
সিসি লোন কী, কেন ও কীভাবে?
ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে ব্যাংক থেকে অনেকেই নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে কিন্তু বর্তমানে একই পরিসেবা গ্রাহকগণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও পাওয়া সম্ভব। একে ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন বলে থাকে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীগণ ঋণ নিতে পারবেন ব্যাংক থেকে তবে এক্ষেত্রে অতীতের ক্রেডিট স্কোর, ঋণ শোধ করার ক্ষমতা এবং কার্ডের ক্রেডিট সীমার উপরে ঋণ পাওয়াটা নির্ভর করে থাকে। ব্যক্তিগত ঋনের তুলনায় ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন তুলনামুলকভাবে ভিন্নতা রয়েছে এবং অনেক্ষেত্রে এটি বেশি উপকারী।
সিসি ঋণ কি?যেখানে একজন গ্রাহক নির্দিষ্ট একাউন্টের মাধ্যমে বিশেষ কোন জামানতের বি্পরীতে কোন পন্য বা সেবা উৎপন্ন বা বাজারজাত করার জন্য ব্যাংক থেকে ঋন পেয়ে থাকে তাই হচ্ছে সিসি ঋন । একটা সাধারন কারেন্ট একাউন্টের মতই সিসি একাউন্ট পরিচালিত হয়। ব্যাংক গ্রাহককে উক্ত একাউন্টে একটা নির্দিষ্ট ঋন্ সীমা দিয়ে থাকে এবং গ্রাহক সেই লিমিট বা সীমার বাইরে ঋণ নিতে পারবে না।। এই ধরনের ঋন চাহিবা মাত্র ফে্রত দিতে হবে- এই প্রকৃতির। তাই এ ধরনের ঋনকে Demand Deposit এর কাউন্টার দিক বলে।
সিসি ঋণ গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ীকে জামানত বা সুরক্ষা জমা দিতে হবে যেখানে জমা দেওয়া জামানত স্থায়ী সম্পদ, স্টক-ইন-ট্রেড, কাঁচামাল, সমাপ্ত পণ্য, সরঞ্জাম, সম্পত্তি ইত্যাদি।
বিজনেস সিসি ঋণ সংক্রান্ত:- বিজনেস সিসি ঋণের ক্ষেত্রে ০.৫% হারে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে হবে । যদি কোন গ্রাহক মাসিক হারে পরিশোধ করতে না পরেন তবে ৩ মাস অন্তর ১.৫% হারে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে ।
- সুদের টাকা তিন মাস পর পর সঞ্চয়ী হিসাব থেকে সমন্বয় করা হবে প্রত্যেকবার ঋণ ফেরতের সময় সুদ আদায় না করে । যদি ঋণ গ্রহীতা চাই তাহলে প্রতিবারে সুদ প্রদান করতে পারবেন।
- সঞ্চয়ী হিসেবে অকশ্যই টাকা থাকতে হবে সদস্যকে খেলাপী হিসেবে গন্য করা হবে এবং সুদের অর্ধেক জরিমানা গ্রহণ করা হবে এবং লোনকে ডেবিট করা হবে ।
- সিসি ঋণ অনুমোদন করা হবে মূলত সিলিং ভিত্তিক ।
- গৃহীত সিসি ঋণের ৩ গুণ সমপরিমাণ লেনদেন করলে পরবর্তী সিলিং প্রাপ্র্য হবেন তবে ১ বৎসরের পূর্বে না।
- যদি মাসিক কোনো লেনদেন না থাকে তাহলে পরবর্তী সিসি লোন বিবেচনা করা হবে না।
- সিসি লোনের লেনদেন করতে হবে এসটিডি হিসাব খুলে ।
- জেনারেল সিসি ঋণের ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির পরিমাণ হচ্ছে ০.৫%।
- কিস্তির টাকা সঞ্চয়ী হিসেব থেকেও সমন্বয় করা যাবে। সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা না থাকলে লোনকে ডেবিট করা হবে এবং সদস্যকে খেলাপী হিসেবে গন্য করা হবে এবং সুদের অর্ধেক জরিমানা গ্রহণ করা হবে।
- সিসি ঋণ সিলিং ভিত্তিক অনুমোদন করা হবে।
- যদি গ্রাহক গৃহীত সিসি ঋণের ৩ গুণ সমপরিমাণ লেনদেন করেন তাহলে পরবর্তী সিলিং প্রাপ্র্য হবেন তবে তা ১ বৎসরের পূর্বে না।
- মাসিক কোন লেনদেন না থাকলে পরবর্তী সিসি লোন বিবেচনা করা হবে না।
- এসটিডি হিসাব খুলে সিসি লোনের লেনদেন করতে হবে।
সিসি লোন সেবা কারা নিয়ে থাকছে?: কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অধীনে যারা বৈধভাবে ব্যবসা করেন মূলত তারাই সিসি লোনের গ্রাহক।
সিসি লোন নেওয়ার জন্য Eligibility:- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি থাকতে হবে।
- একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ৩ মাসের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা সহ বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
- ঋণ পরিশোধের জন্য অনুকূল ক্যাশ ফ্লো থাকতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা হিসাব থাকতে হবে।
- টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড এবং সিসি লোন সম্পর্কিত নিকটস্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের অবস্থান জানতে এবং বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা স্কিমের ব্যাপারে জানতে ভিসিট করতে পারেন সংযোগইউ (SHONGJOGyou) ওয়েবসাইটে। বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সেবা ও সুবিধা গ্রাহকদের কাছে অনলাইনে সহজেই পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে সংযোগইউ প্লাটফর্মটি। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
পার্সোনাল লোন কি এবং কিভাবে নিবেন?
প্রয়োজনীয় কাজে পারসোনাল লোন একটি অন্যতম উপায়। হোমলোন কিংবা গাড়ি ক্রয় লোনের বাইরেও পারসোনাল লোনের যথেস্ট চাহিদা রয়েছে। ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন পাওয়া তুলনামূলক সহজ। তবে পার্সোনাল লোন-এর রেট অফ ইন্টারেস্ট বেশি। ব্যাংকগুলো পার্সোনাল লোন প্রদান করে সহজ শর্তে। পার্সোনাল লোন আপনি যে কোন উদ্দেশ্যে বা প্রয়োজনে নিতে পারবেন। যেমন –বিদেশে ভ্রমন বা জরুরি চিকিৎসার জন্য, বিবাহ খরচ ব্যয় করার জন্য বা যে কোন জরুরি দরকারে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। এই লোনের টাকা গ্রাহক তার ইচ্ছানুসারে ব্যবহার করতে পারবেন।
Personal Loan কি?ব্যক্তিগত লোন হল এক ধরনের অনিরাপদ ঋণ এবং আপনার বর্তমান আর্থিক চাহিদা মেটাতে আপনাকে সহায়তা করে। ব্যক্তিগত লোন নেয়ার সময় সাধারণত কোন সুরক্ষা বা জামানত গ্রহনের প্রয়োজন হয় না এবং ঋণ প্রদানকারী আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি তহবিল ব্যবহার করার নমনীয়তা সরবরাহ করে। একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নিজের জন্য কোন ইমার্জেন্সী বা কোন কাজের জন্য যে লোন নেওয়া হয় তাকেই ব্যক্তিগত ঋণ বা (Personal Loan) বলে।
পরিবারের জন্য বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আর্থিক সমস্যা দেখা দিলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ থেকে আমরা পার্সোনাল লোন নিতে পারি । ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক যে কোন প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংকসমূহ পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে। এই লোন নিতে পারবে যে কোন উদ্যোক্তা এবং খরচ ও করতে পারবে তার ইচ্ছা অনুযায়ী। পার্সোনাল লোনের সুদের হার অন্যান্য ঋণের তুলনায় একটু বেশি পরিলক্ষিত হয়। সুদের হার বেশি হওয়ার কারনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্যারান্টার ছাড়াই প্রথমবার ঋণ দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো ১১%-১৬% হারে সুদের মাধ্যমে পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে। সুতরাং সুদের হারের ব্যপারে সম্পূর্ণ অবগত হয়ে তবেই ঋণের জন্য আবেদন করা উচিত।
Personal Loan কারা দিচ্ছে?সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক সমূহ (সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, আইসিআইসি আই ইত্যাদি) পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে। অধিকাংশ ব্যাংক সর্বনিম্ন ১০.৭৫% হারে ব্যক্তিগত ঋণ ও পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে। যদিও ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এক নয় অর্থাৎ শর্তসাপেক্ষে পরিবর্তনশীল।ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের উপর নির্ভর করে। সর্বনিম্ন ৫০,০০০টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০,০০,০০০ টাকা (প্রায়) পর্যন্ত ৬ মাস থেকে ৫ বছর মেয়াদী পার্সোনাল লোন পাওয়া সম্ভব। লোন দেবার পূর্বে ব্যাংক গ্রাহকের লোন পরিশোধ করার যোগ্যতা যাচাই করে নিয়ে লোন দেয়ার ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সুতরাং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন অনেক বিচার বিবেচনা করে ব্যক্তিগত লোন প্রদান করে। নিয়মিত ও স্থায়ী বা সরকারী চাকুরিজীবীরা অন্যদের চেয়ে তাড়াতাড়ি লোন পায়। ব্যবসায়ী বা আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তিদের কমপক্ষে ৩০,০০০টাকা আয় থাকতে হবে। চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২৫০০০ টাকা আয় থাকতে হবে।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে ব্যক্তিগত ঋণের সুদহার প্রায় ১৩ শতাংশের মধ্যে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্যাংক এশিয়ায় সুদের হার ১০ থেকে ১৩ শতাংশ, এক্সিমে ১৩ থেকে ১৬ শতাংশ, আইএফআইসিতে ১৩ থেকে ১৬ শতাংশ, মার্কেন্টাইলে ১০ থেকে ১৩ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাস্টে ১১ থেকে ১৪ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকে ১১ থেকে ১৫ শতাংশ, প্রাইমে সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১৩ শতাংশ, সিটি ব্যাংকে ১৩ শতাংশ,ব্র্যাক ও ঢাকা ব্যাংকে ১১ থেকে ১৪ শতাংশ, ডাচ্–বাংলা ও ইউসিবিএল সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১৩ শতাংশ, ইস্টার্নে ১০ থেকে সাড়ে ১১ শতাংশ ।
Personal Loan কারা নিচ্ছে?পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই আবেদনকারী ব্যক্তির আয় থাকতে হবে। মাসিক কিংবা বার্ষিক আয় না থাকলে কোন ব্যক্তি পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। বাংলাদেশে পার্সোনাল লোনের আবেদনের জন্য নূন্যতম বয়স ২১ বছর। আর সর্বোচ্চ বয়স ৬০ বছর পর্যন্ত লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে। সরকারি, বেসরকারি কিংবা MNC তে যারা কাজ করে সে সকল ব্যক্তিদের জন্য ব্যক্তিগত ঋণের পদ্ধতি তুলনামূলক ভাবে সহজ হয়। পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করা ব্যক্তির মাসিক কিংবা বার্ষিক নির্দিষ্ট পরিমানের আয় থাকতে হবে। আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত বেসরকারি ব্যাংক সমূহের ক্ষেত্রে।
Personal Loan পাবার Eligibility /যোগ্যতাঃ১. সরকারি জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণ (ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট) থাকতে হবে।
২. চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে আইডি থাকতে হবে।
৩. পূর্বে যদি কোন ঋণ থাকে তবে EMI তথ্য রয়েছে এমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
৪. শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ক্লিয়ার থাকতে হবে।
৫. চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সেলারি স্লিপ ক্লিয়ার রাখতে হবে।
৬. উপযুক্ত জামিনদার /গ্যারান্টার থাকতে হবে।
৭. গ্রাহকের সই করা আবেদনপত্র থাকতে হবে।
৮. আবেদনকারী ও গ্যারান্টারের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকতে হবে।
৯. ইউটিলিটি বিলের কাগজ ফযেমন (গ্যাস বিল,টেলিফোন বিল,বিদ্যুৎ বিল,ওয়াসা বিল) ইত্যাদি থাকতে হবে।
১০. অন্যান্য ইনকাম সম্পর্কিত ডকুমেন্ট (যদি থাকে) থাকতে হবে।
১১. ই- টিন কপি থাকতে হবে।
১২. চাকরিজীবীদের সেলারি একাউন্ট থাকতে হবে।
১৩. চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র থাকতে হবে।
১৪. চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে পে স্লিপ থাকতে হবে।
১৫. পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিগ্রির সনদপত্র থাকতে হবে।
১৬. বাড়ির মালিকের ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকানার দলিলপত্র থাকতে হবে।
১৭. বাড়ির মালিকের ক্ষেত্রে ভাড়া প্রাপ্তির রশিদ কিংবা ভাড়াটিয়ার সাথে চুক্তিপত্র থাকতে হবে।
১৮. ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স হালনাগাদ থাকতে হবে।
১৯. ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সকল হিসাব যথাযথভাবে দেখাতে হবে।
২০. আবেদনকারী ও গ্যারান্টারের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ সঠিক ও নির্ভূল হতে হবে।
২১. অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও জামানত (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) থাকতে হবে।
উপরের তালিকাভুক্ত প্রায় সকল দরকারী তথ্য এবং উপাত্ত ব্যাংকে দেওয়ার মাধ্যমে পারসোনাল লোনের জন্য আবেদন করা যাবে। নিকটস্থ কোন ব্যাংকে পারসোনাল লোন পাওয়া যাচ্ছে এ সকল তথ্য জানতে ভিসিট করুন সংযোগইউ (SHONGJOGyou) ওয়েবসাইটে। এতে করে ঘরে বসেই আপনার নিকটস্থ সকল ব্যাংকের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানতে সহায়তা করবে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
বিনা জামানতে লোন ও এর নিয়ম কি?
দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত তথা সাধারন শ্রেণীর আর্থিক জটিলতা, সংকট ও দুরাবস্থা নির্মূল করে উন্নত জীবন ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের তাদের চাহিদা অনুযায়ী সহজ শর্তে বিনা জামানতে লোন প্রদান করে থাকছে।
বিনা জামানতে লোন কি?বিনা জামানতে লোন হল এমন এক ধরনের লোন যা কেবলমাত্র ঋণগ্রহীতার ঋণ নেবার যোগ্যতার দ্বারা প্রদান করা হয় কোন প্রকার জামানত ছাড়া। বিনা জামানতে লোন – কখনও কখনও স্বাক্ষর ঋণ বা ব্যক্তিগত লোন হিসাবে উল্লেখ করা হয়। সম্পত্তি বা অন্যান্য সম্পদ জামানত হিসাবে ব্যবহার না করে এই লোন অনুমোদিত হয়। অনুমোদন এবং প্রাপ্তি সহ এই জাতীয় লোনের শর্তাদি প্রায়ই ঋণগ্রহীতার ঋণ স্কোরের উপর নির্ভরশীল। সাধারণত, ঋণগ্রহীতাদের নির্দিষ্ট অনিরাপদ লোণের জন্য অনুমোদিত হওয়ার জন্য উচ্চ ক্রেডিট স্কোর থাকতে হবে। ক্রেডিট স্কোর হল ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতার সংখ্যাসূচক প্রতিনিধিত্ব এবং গ্রাহকের লোনের ইতিহাসের ভিত্তিতে গ্রাহকের লোন যোগ্যতা প্রতিফলিত হয়। এক কথায়, বিনা জামানতে লোন হচ্ছে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন তবে গ্রাহকের যে ডকুমেন্ট বা সম্পত্তি রয়েছে সে ডকুমেন্টগুলো ব্যাংক বন্ধক রাখতে পারবে না তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলে গ্রাহকের ডকুমেন্টস গুলো দেখতে পারবে।
বিনা জামানতে লোন কারা দিচ্ছে?বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিনা জামানতে লোন দিচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম হল-কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক,জনতা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, মিচুয়্যাল ট্রাষ্ট ব্যাংক সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান।ব্যাংকের পাশাপাশি দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন- এনজিও, কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদেরকে সহজশর্তে বিনা জামানতে লোন প্রদান করে থাকে।কেন্দীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছেন একজন নারী উদ্যোক্তাকে বিনা জামানতে প্রায় ২৫ লাখ এবং পুরুষ উদ্যোক্তাকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার । এক্ষেত্রে ঋণের জন্য ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনও ব্যক্তিকে গ্যারান্টার হতে হয়।
বিনা জামানতে লোন কারা নিচ্ছে?দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাগণ কিংবা চাকুরিজীবি মূলত সবাই এই লোনের জন্য আবেদন করে থাকেন। এই লোন নেওয়ার জন্য ঋনের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই তাকে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। বিনা জামানতে লোন পাওয়ার জন্য বয়স সীমা হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৮ বছর সর্বোচ্ছ ৫০ বছর পর্যন্ত।
বিনা জামানতে লোন নিতে কি কি Eligibility / উপযোগিতার প্রয়োজন হয়:বিনা জামানতে লোন নেওয়ার জন্য যে সকল Eligibility / উপযোগিতার প্রয়োজন হয় তা নিম্নে বর্ণিত হল-
- বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিক হতে হবে।
- শাখার অধিক্ষেত্রের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। স্থায়ী বাসিন্দা না হলে শাখার অধিক্ষেত্রের একজন স্থায়ী বাসিন্দাকে ঋণের গ্যারান্টার হতে হবে;
- বয়স সাধারণত ১৮ হতে ৫০ বছর হতে হবে। কর্মসংস্থান ব্যাংকের পুরাতন ঋণগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।
- লোনের জন্য দুই বছরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা ও বেসিসের সুপারিশপত্রের প্রয়োজন হবে।
- ব্যবসায়ের আয়-ব্যয় বিবরণী হিসাব থাকতে হবে।
- ঋণ ব্যবহারের যোগ্যতাসহ ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ও আর্থিক আচরণে সুনামের অধিকারী হতে হবে।
- অন্য কোনো ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান/এনজিও অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণখেলাপী যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
- ব্যাংকের নিকট গ্রহনযোগ্য ব্যবসায়ী হতে হবে।
বিনা জামানতে লোন নেওয়ার জন্য যে সকল ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় তা নিম্নে বর্ণিত হল-
- সরকারি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি থাকতে হবে।
- আবেদনকারী গ্যারেন্টারের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।
- ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি যেমন- গ্যাস বিল, ইলেকট্রিক বিল, ওয়াসা বিল ।
- উদ্যোক্তা/গ্যারান্টারের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র হিসেবে উদ্যোক্তা/গ্যারান্টারের
- দলিল/পর্চার ফটোকপিসহ স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড
- কাউন্সিলার কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের ঋণ প্রদানকারী শাখায় নির্ধারিত ফরমে ঋণের আবেদন;
- ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে আপডেট ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
- ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে আপডেট টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
উপরোক্ত সকল তথ্য প্রদান করার পরে ব্যাংক আপনার তথ্যসমূহ যাচাই বাছাই করার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কার্যদিবসের সময় নিবে। এর পরে সিদ্ধান্ত নিবে আপনাকে লোন দেয়া সম্ভব কি না। এই ধরনের লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন। এই প্লাটফর্মে এসএমই সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন এবং এর পাশাপাশি আপনার নিকটস্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল স্কীম এবং সার্ভিসের ব্যাপারে অবগত হতে পারবেন। তাই আজই ভিসিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।
হোম লোন কি, কারা দিচ্ছে ও কিভাবে?
নিজের একটি বাড়ি হবে সে স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, অন্যদিকে দেখা যায় কারো কারো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্নের মধ্যে অন্যতম স্বপ্ন নিজের একটি বাড়ি বানানো। কিন্তু নিজের বাড়ি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়তে পারে আর্থিক সমস্যা। স্বপ্নের বাড়ি নির্মানে ব্যয়বহুল এবং প্রায় দুঃসাধ্য কাজটি আপনাদের জন্য সহজ করতে পারে একমাত্র হোমলোনই।
Home Loan কি?
বাড়ি নির্মাণ কিংবা পুরানো বাড়ি সংস্কারের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে উপযুক্ত ডকুমেন্ট প্রদানের মাধ্যমে য়ে ঋণ নেওয়া হয় তাই হচ্ছে হোম লোন। নীতিমালা অনুযায়ী হোম লোন বলতে ৪ ধরনের লোনকে বুঝায়।
- বাড়ি/আবাসিক নির্মানের জন্য একক ঋণ
- জমি ক্রয় সহ বাড়ি নির্মানের জন্য সম্মিলিত ঋণ
- জমিসহ তৈরী বাড়ি ক্রয়ের জন্য একক ঋণ
- ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণ
Home Loan কারা প্রদান করছে?
বাংলাদেশে গৃহ ঋণের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। গৃহঋণ দেওয়াটাই হচ্ছে এই সংস্থার মূল কাজ। ব্যাংক বা বিএইচবিএফসি থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কিনতে চাইলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ টাকা নিজের থাকতে হবে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। সাধারনত সরকারি–বেসরকারি ব্যাংক সহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, আইপিডিসি, লংকা বাংলা ফিন্যান্স সহ আরো অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হোম লোন দিয়ে থাকে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক হোম লোন প্রদানের জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশে রাষ্টায়ত্ব ৪ টি ব্যাংক সরকারে সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। ব্যাংক গুলো হল- হাউজিং বিল্ডিং ফাইন্যান্স সল্যুশন, সোনালি ব্যাংক, অগ্রনী ব্যাংক এবং রূপালি ব্যাংক। সরকারি চাকুরিজীবিদের গৃহ নির্মানের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ ২০২০ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন একক বাড়ী এবং একাধিক মালিকানার বাড়ী নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে।
সাধারনত ৫ টি উদ্দ্যেশে হোম লোন দেওয়া হয়-
- বাড়ি সংস্কারের জন্য ( ৫ লক্ষ – ৭৫ লক্ষ টাকা)
- সেমি পাকা বাড়ি নির্মানের জন্য ( ৫ লক্ষ – ৭৫ লক্ষ টাকা)
- পাকা বিল্ডিং বাড়ি নির্মানের জন্য ( ১৫ লক্ষ – ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা)
- অন্য কোন ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে চাচ্ছেন আর সেটা হোম লোন ডিভিশনে পড়লে ঋণ পাবেন (১৫ লক্ষ – ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা)
- বাড়ি / ফ্ল্যাট কিনতে চাইলে ঋণ পাবেন (১৫ লক্ষ – ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা)
ঋণ পরিশোধের মেয়াদ
:
- বাড়ি সংস্কারের জন্য ( ৫ লক্ষ – ৭৫ লক্ষ টাকা)= ১৫ বছরের জন্য।
- সেমি পাকা বাড়ি নির্মানের জন্য ( ৫ লক্ষ – ৭৫ লক্ষ টাকা)= ১৫ বছরের জন্য।
- পাকা বিল্ডিং বাড়ি নির্মানের জন্য ( ১৫ লক্ষ – ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা)= ২৫ বছরের জন্য।
- অন্য কোন ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে চাচ্ছেন আর সেটা হোম লোন ডিভিশনে
- পড়লে ঋণ পাবেন (১৫ লক্ষ – ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা) = ২৫ বছরের জন্য।
- বাড়ি / ফ্ল্যাট কিনতে চাইলে ঋণ পাবেন (১৫ লক্ষ – ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা) = ২৫ বছরের জন্য।
Home Loan কারা নিচ্ছে?
সাধারন প্রবাসীরা, সরকারি / বেসরকারি চাকুরিজীবীরা, সাধারন ব্যবসায়ী, ডাক্তার, ইজ্ঞিনিয়ার, বাসাওয়ালা, নিজে স্বনির্ভরশীল ব্যক্তি হোম লোন নিতে পারবেন। যিনি ঋণ নিবেন তার মাসিক আয় সর্বনিন্ম 20 হাজার /25 হাজার/ 50 হাজার হতে হবে যা ক্ষেত্রভেদে পরিবর্তনযোগ্য।
Home Loan এর ক্ষেত্রে যোগ্যতা প্রয়োজন:
Home-loan এর ক্ষেত্রে যে সকল যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তা নিম্নে বর্ণিত হল –
- যে ব্যাংক থেকে গৃহ নির্মানের জন্য ঋণ নিবেন উক্ত ব্যাংকের গৃহ নির্মাণ ঋণ ফরম যথাযথভাবে পূরন করতে হবে।
- বয়সসীমা ১৮ থেকে ৬৫ বছর হতে হবে। ঋণ আবেদনকারীর বয়স ৬৫ বছরের উপরে হলে প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে / মেয়েকে নিয়ে যৌথ আবেদন করতে হবে।
- ঋণ আবেদনকরীকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
- প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বৈধভাবে দেশের বাইরে রয়েছে ৩ বছর আয় করার জন্য তা প্রয়োজন কাগজ ও ডকুমেন্ট জমা দেয়ার মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
- বাড়ি নির্মানের জন্য ঋণ গ্রহীতার খাশ দখলী / নিজ ক্রয়কৃত জমি হতে হবে।
- আম-মোক্তার ঋণ আবেদনকারী প্রবাসীর পক্ষে ঋণ গ্রহন করতে পারবেন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পাওয়ার অব এটনী -২০১২ অনুসরন করে ব্যাংকের নমুনা মোতাবেক আমমোক্তার নামা দাখিল করতে হবে।
- নিরক্ষর ব্যক্তিকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত জামিনদার (স্বামী/স্ত্রী, পিতামাতা, পুত্র-কন্যা) নিয়োগ করতে হবে।
- সিডিএ প্লান পাশ সনদ থাকতে হবে।
- সর্বশেষ ১ বছরের ব্যাংক বিবরনী।
- সর্বশেষ ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- জেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ বছরের নির্দয় সনদ (এন,ই.সি.)ব্যাংকে প্রদান করিতে হবে।
- সরকারি প্লটের ক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ পত্র, দখল হস্তান্তরপত্র, মূল লীজ দলিল এবং বন্ধক প্রদানের অনুমতিপত্র ব্যাংকে পদান করিতে হবে।
- সাধারন প্রবাসীদের জন্য আয়ের উপযুক্ত প্রমান।
- সরকারি/বেসরকারি চাকুরিজীবীদরে জন্য ২ বছর চাকরীর অভিজ্ঞতা।
- সাধারন ব্যবসায়ী 3 বছর ব্যবসার অভিজ্ঞতা ও আপডেট ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
- চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে ১ বছরের প্র্যাকটিস এক্সপেরিয়েন্স/ প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রে ২ বছর প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স/ বাসাওয়ালা অথবা নিজে স্বনির্ভরশীলদের জন্য আয়ের যথাযথ প্রমান।
ব্যাংকে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
- হোম ক্রেডিটের কিংবা টেকওভার লোনের নিবন্ধনকৃত মালিকানা দলিল থাকতে হবে (যদি লাগে)
- হোম ক্রেডিট লোনের প্রাইস কোটেশন।
- সংশ্লিষ্ট নথি থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরন করে দাবি করতে হবে।
- অনুমদিত নকশা ও অনুমোদনের সত্যায়িত ফটোকপি।
- সাইট পরিদর্শনের জন্য রুট ম্যাপ দিতে হবে।
- মূল দলিল, নামজারি খতিয়ান, ডিসিআর, হালসনের খাজনা রশিদের সথ্যায়িত ফটোকপি ইত্যাদি।
- জমির মূল মালিকানা দলিল (মূল দলিলের ১ কপি সত্যায়িত ফটোকপি সহ), বায়া দলিল ব্যাংকে পদান করিতে হবে।
- সি. এস, এস.এ, আর-এস ও বি. এস খতিয়ানের জাবেদা নকল ব্যাংকে প্রদান করিতে হবে।
- ডিসি, আর, খাজনা রশিদ ও নামলায় খতিয়ান ব্যাংকে প্রদান করতে হবে।
হোম লোন সম্পর্কিত সকল ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে কাজ করছে সংযোগইউ। সব ধরনের গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনমত যে কোন ধরনের আর্থিক সুবিধা এবং তথ্য খুজে পাবে সংযোগইউ এর মাধ্যমে। এতে করে হম লোনের সাধারন সুবিধার বাইরেও প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত কোন সুবিধা দিচ্ছে কিনা তাও জানা সম্ভব সংযোগইউ এর মাধ্যমে। এছাড়া ঘরে বসেই সকল প্রকার আর্থিক সেবা এবং সুবিধা পাওয়া যাবে এই এপের মাধ্যমে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
শিক্ষা ঋণ কি, কারা দিচ্ছে ও কিভাবে নিবেন?
অনেক পরিবার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে প্রেরণ করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। দেশ বিদেশে উচ্চতর পেশাদার বা প্রযুক্তিগত শিক্ষা গ্রহনের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করাই স্টুডেন্ট লোনের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সহায়তা করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে ভবিষ্যতের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তোলাই স্টুডেন্ট লোনের মূল উদ্দেশ্য। স্টুডেন্ট লোন একজন শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষার উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
Student Loan কি?শিক্ষার্থীকে কর্মজীবনকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করে গড়ে তোলার জন্য গতানুগতিক ডিগ্রীর পাশাপাশি উন্নত ও উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন ডিগ্রী অর্জন করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। আগ্রহী শিক্ষার্থীর শিক্ষার সুযোগ করে দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদে যে ঋণ দেওয়া হয় তাই স্টুডেন্ট লোন (Student Loan)/শিক্ষা ঋণ নামে পরিচিত। যদিও স্টুডেন্ট লোন দেশী এবং বিদেশী সকল ধরনের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ঋনের সুবিধা দিয়ে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার তাগিদে বিদেশগামী শিক্ষার্থীরা এই ঋণ নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরিবার বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য খরচ যোগাতে সক্ষম থাকলেও পরিবারগুলো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টগুলোতে নির্দিষ্ট অংকের নগদ অর্থের পর্যাপ্ত ভারসাম্য দেখাতে পারেন না। ফলে অনেক ভালো শিক্ষার্থীর বিদেশী শিক্ষার স্বপ্ন পূরনের ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। এরই সুবাদে স্টুডেন্ট লোন বিদেশগামী উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অন্যতম সুবিধা।
স্টুডেন্ট লোন কারা দিচ্ছে?সাধারণত অভিভাবকদের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের এ ধরনের ঋণ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ব্যাংক শিক্ষার্থীদের জীবন সহজ এবং সরল করতে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা লোন বা ক্রেডিট সরবরাহ করে। স্টুডেন্ট ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের নাম যেমন-এইচ এস বিসি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংকসহ আরো অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকগুলো নূন্যতম সুদের তুলনায় গ্রাহকদের সহায়তা করার জন্য অনেক আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে।
- স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লোনের পরিমান ৫০,০০০ – ৩,০০,০০০ টাকা প্রায়।
- বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লোনের পরিমান ১,০০,০০০ – ৪০,০০,০০০ টাকা প্রায়।
- সময়সীমা /মেয়াদঃ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২- ৪৮ মাস এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২-১৮ মাস পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।
- স্টুডেন্ট লোন মূলতঃ ১২% সুদের হারে লোন প্রদান করা হয়।
সাধারণত দেশের বাইরে পড়াশোনা করার জন্য এইচএসসি পাশের পর স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে অভিভাবকদের সহায়তায় সরাসরি শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট লোন বা শিক্ষা ঋণ নিয়ে থাকে। অভিভাবকদের ইচ্ছা পূরনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্ররণের জন্য ব্যাংক সমূহ দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরনে সহায়তা করছে। ২৫-৬০ বছর বয়সের যে কেউ যোগ্যতা অনুসারে ঋণ নিতে পারবে। ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই পরিবারের যে কোন সদস্যের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ২৫০০০ টাকা হতে হবে।
স্টুডেন্ট লোন নেয়ার জন্য Eligibility/যোগ্যতা:- লোন নেয়ার জন্য যে সকল উপযোগিতার প্রয়োজন হয় তা বর্ণিত হলোঃ
- আবেদনকারী ও গ্যারান্টারের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
- আবেদনকারী ও গ্যারান্টারের সদ্যতোলা ছবি থাকতে হবে।
- বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল যেমন-(গ্যাসবিল,ইলেক্ট্রিক বিল,ওয়াসা বিল) ইত্যাদির ফটোকপি থাকতে হবে।
- গ্যারান্টার যদি প্রফেশনাল হয় তবে মাসিক আয় নূন্যতম ৩০০০০ টাকা হতে হবে।
- গ্যারান্টার যদি ব্যবসায়ী হয় তবে মাসিক আয় নূন্যতম ৫০০০০ টাকা হতে হবে।
- আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে নূন্যতম এইচএসসি পাশ হতে হবে।
- বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্টের ফটোকপি থাকতে হবে।
- ভর্তি এবং ভিসার আনুষ্ঠানিকতা পাাওয়ার জন্য সকল ধরনের পূর্বশর্ত বা নীতিমালা পূরণ করতে হবে।
- আবেদনকৃত শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় পাশের সনদপত্রের প্রমান দেখাতে হবে।
- যে শিক্ষার্থীর জন্য লোন নেওয়া হবে তার কাছে অনুমোদনের চিঠি থাকতে হবে।
- কোন প্রকার খারাপ খ্যাতি যেমন – ফৌজদারি রেকর্ড ,রাজনৈতিক কাজে সংযোগ থাকার রিপোর্ট ইত্যাদি।
- শিক্ষার্থী ও গ্যারান্টারের ড্রাইভিং লাইসেন্স,টিআইএন সার্টিফিকেট (যদি থাকে) এর ফটোকপি থাকতে হবে।
- জামানতদারের বেতন/আয় প্রশংসাপত্রের নিট আয়ের বিবরনী থাকতে হবে।
- শিক্ষার্থীর বৈধ ভিসার সাথে পাসপোর্টের অনুলিপি থাকতে হবে (যেখানে প্রযোজ্য)।
- শিক্ষার্থীর শিক্ষার প্রশংসাপত্রের কপি থাকতে হবে।
- অভিভাবক ও আবেদনকারীর বায়োডাটা দিতে হবে।
- আবেদনকারী ও অভিভাবক উভয়ই যদি নিয়োগকর্তার নিকট বেতন প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে।
- নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল জমা দিতে হবে।
- শিক্ষার্থীকে অধ্যায়নের জন্য নিয়োগকর্তার এনওসি কপি জমা দিতে হবে।
বিদেশে ঊচ্চশিক্ষার এ সকল ঋণ সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য এবং সার্ভিসের তালিকা পেয়ে যাবেন আমাদের সংযোগইউ প্লাটফর্মে। এই প্লাটফর্ম দ্বারা ঘরে বসেই নিকটস্থ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্ভিসের ব্যাপারে জানতে পারবেন এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী খুঁজে নিতে পারবেন দরকারী আর্থিক সার্ভিসটি সহজেই। অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পারবে সহজেই তাদের সার্ভিসটি সঠিক ও উপযুক্ত গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
কিভাবে লোন পাবেন?
ব্যাংক এর প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে লোন অন্যতম। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন হয় না, ব্যক্তিগত প্রায় সব কাজেই ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্যাংক লোন পাওয়ার প্রক্রিয়াটি একটু জটিল। যেকোনো ধরণের ভুল লোন পাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে যেমন আরও জটিল করে দিতে পারে, তেমনি আপনার লোনের আবেদনটি প্রত্যাখ্যাতও হতে পারে। আপনার যদি লোন নেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি কত টাকা ঋণ নিতে চাচ্ছেন, কত দিনের মধ্যে আপনার ঋণের টাকা দরকার এবং কত দিনে পরিশোধ করবেন বা মাসে সর্বোচ্চ কত বহন করতে পারবেন সে সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা থাকলে খুব সহজেই লোন পেতে পারেন। আমাদের আজকের নিবন্ধনে আমরা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
ব্যাংক লোন পেতে করণীয়:
ব্যাংক লোন পেতে প্রথমেই যেটা করনিয় তা হলো, আপনি কি উদ্দেশ্যে লোন নিতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ আপনি কোন ধরণের লোন কি উদ্দেশ্যে নিতে চান সেটি আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনি যে লোনগুলো পাবেন সেগুলো হলো-
- পার্সোনাল লোন: ( যে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য )
- বিজনেস লোন: ( ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য )
- হোম লোন: ( বাড়ি কেনার জন্য )
- অটো লোন: ( গাড়ি কেনার জন্য )
- প্রবাসী লোন: ( বিদেশে যাওয়ার জন্য )
- এডুকেশন লোন বা স্টুডেন্ট লোন: ( পড়াশুনার জন্য )
- কৃষি ঋণ।
- কুইক লোন
- এস-এমই লোন ( ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের জন্য)
উপরে উল্লেখিত লোন গুলোর যেটি ই আপনি নিতে চান না কেন, সেটা নিতে পারবেন দুই ভাবে। একটি হলো দীর্ঘমেয়াদী লোন এবং স্বল্পমেয়াদী লোন । দীর্ঘমেয়াদী লোন এক বছরের অধিক সময়ের জন্য দেওয়া হয়। আর স্বল্পমেয়াদী লোন এক বছরের কম সময়ের জন্য দেয়া হয়।
কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেবেন তা নির্ধারণ করুন:
আপনার প্রয়োজনীয় লোনটি কারা সবচেয়ে সহজ শর্তে দিচ্ছে সেটি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। নিকটস্থ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিবেন সেটি আপনাকে আগে থেকেই নির্বাচন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একটি ব্যাংক সব ধরণের লোন প্রদান করে না। আবার, যদি প্রদান করেও সহজ শর্তে লোন পাওয়া সব গ্রাহকের জন্য সহজ হয় না। তবে এখন কিছু ব্যাংক বা নন ব্যাংক অর্থাৎ ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান যেমন বিভিন্ন ধরনের NGO, ব্যবসায়ের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে। আবার অনেক ব্যাংকই পার্সোনাল লোন বা স্যালারি লোনের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে। লোন নেয়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকই ভাল সেবা প্রদান করে থাকে । যদিও ব্যাংক ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠানও লোন প্ৰদান করে থাকে। লোন নেয়ার পূর্বে অবশ্যই বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুদের হার এবং প্রোর্সসিং ফি সহ আনুষঙ্গিক খরচাদি কত হবে তা জেনে নিতে হবে। যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হার এবং প্রসেসিং ফী কম সেই প্রতিষ্ঠানকেই লোন নেয়ার জন্য নির্বাচন করতে হবে। একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, লোন যত দীর্ঘমেয়াদী হবে ততই আপনার জন্য সহজ এবং ভালো হবে।
লোন পাওয়ার শর্তগুলো জেনে নিন:
লোন পেতে গেলে আপনাকে অবশ্যই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার আগে তাদের কি কি শর্ত আছে তা জেনে নিতে হবে এবং সেগুলো আপনি পূরণ করতে পারবেন কি না সে বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। এক এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক এক রকম শর্ত প্রয়োগ করে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি যেই প্রতিষ্ঠানের শর্তগুলো পূরণ করতে পারবেন বলে মনে করেন সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে লোনের জন্য আবেদন করুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি রাখুন:
প্রায় সব ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রেই একই ধরনের কাগজপত্রের দরকার হয়। এটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কি ধরনের লোন নিচ্ছেন এবং কোথা থেকে নিচ্ছেন তার উপর। ব্যাংক লোন পেতে সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমুহ হলোঃ
- স্বাক্ষরসহ যথাযথভাবে পূরণ করা আবেদন ফরম
- সম্প্রতি তোলা ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- স্যালারি সার্টিফিকেট
- ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন অনুলিপি
- অফিস আইডি ফটোকপি (ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য)
- চেক-বুক পেজ
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ট্রেড লাইসেন্স (ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য)
- যেকোনো ইউটিলিটি বিল এর কপি
এছাড়াও লোন নেওয়ার জন্য যিনি লোন নিচ্ছেন, তার পক্ষ থেকে একজন গেরান্টর এবং একজন নমিনী যুক্ত করতে হয়। গেরান্টর এবং নমিনীর ছবি, এনআইডি, অফিস আইডি, ইত্যাদি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। কোন কারণে যদি লোন গ্রহীতা লোন পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তবে ব্যাংকের কাছে গেরান্টর জবাবদিহি করতে হয়। এছাড়া উইটনেস বা সাক্ষীর ও দরকার হয়।
আরো যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
- কি পরিমাণ লোন পরিশোধ করবেন তা ক্রেডিট স্কোর এর উপর নির্ধারণ করা হয়। তাই লোন নেওয়ার সময় ক্রেডিট স্কোর জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- লোন প্রক্রিয়ায় প্রযোজ্য প্রসেসিং চার্জ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
- লোন পরিশোধে দেরি হলে সাধারণত ৫ থেকে ১০ শতাংশ লেট পেমেন্ট চার্জ প্রযোজ্য হয়। তাই লোন নেওয়ার আগে লেট পেমেন্ট চার্জ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
- লোন নেওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট অংক প্রি-পেমেন্ট চার্জ হিসেবে গৃহীত হতে পারে, যা সম্পর্কে জানা একান্ত জরুরি।
- লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই যে ব্যাংক থেকে লোন নিচ্ছেন, সে ব্যাংকের সুদের হার, মেয়াদকাল, মাসিক ইন্সটলমেন্ট ইত্যাদি তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
ব্যাংক লোনের প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। তবে সঠিকভাবে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারলে এই ব্যাংক লোনটি আপনার আর্থিক প্রয়োজনে অনেক বড় সঙ্গী হবে। আর তাই আপনার জন্য যেকোনো লোন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে ও হাতের মুঠোয় এনে দিতে কাজ করে যাচ্ছে সংযোগইউ ডট কম। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
ডিপিএস কি? কোন কোন ব্যাংক ডিপিএস সেবা দিচ্ছে? ডিপিএস করতে কি কি লাগে?
ডি পি এস এর মূল প্রতিশব্দ হল ডিপোজিট পেনশন স্কিম। মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প যা ডিপিএস নামে বহুল প্রচলিত যদি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এর ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। গ্রাহক যদি বিশেষ কোন কারনে ডিপিএস নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ভাঙ্গাতে চাই তাহলে ডিপিএস ভাঙাতে পারবেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কিছুটা কম হয়।
ডিপিএস কি?প্রতিমাসে নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যাংক সহ কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রেখে মেয়াদ শেষে লভ্যাংশ সহ ফেরত পাওয়াকে ডিপিএস বা ডেপোজিট পেনশন স্কিম বলে। ব্যাংকের এই সার্ভিসের আওতায় গ্রাহক প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিস্তি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ যেমন-১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত জমা দিয়ে ওই নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে আকর্ষনীয় সুদ/মুনাফাসহ গ্রাহক জমাকৃত টাকা ফেরত পাবেন। যে কোন ব্যক্তি /প্রতিষ্ঠান যতটি খুশি ততটি মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প হিসাব খুলতে পারেন ।
কোন কোন ব্যাংক ডিপিএস সেবা দিচ্ছে?দেশের অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ গ্রাহকদের জন্য ডিপিএস সেবা দিচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাংক গুলো হল-ইসলামী ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক একাউন্টে টাকা থাকলে অটোমেটিক ডিপিএস এ জমা হবে। স্যালারি একাউন্ট থাকলে বেতন পাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস এ জমা হয়। আপনার প্রয়োজনে অবশ্যই ডিপিএস ভাঙ্গা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র মূল টাকা ফেরত পাবেন। তবে সময় সাপেক্ষে কিছু লভ্যাংশ পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন। কোন মাসে টাকা জমা না হলে ডিপিএস বন্ধ হবে না। পরবর্তী মাসে একত্রে দুইটি ইনিস্টলমেন্ট দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী পরপর তিনটি কিস্তি দিতে না পারলে সাময়িক স্থগিত হয়ে যাবে। পরবর্তীতে ব্যাংকে এসে দরখাস্থ দিয়ে পুনরায় চালু করা যাবে। এক্ষেত্রে কিছু জরিমানাও দরকার পড়তে পারে।
ডিপিএস করতে কি কি লাগে?ডিপিএস করতে যা যা প্রয়োজন হয় তা নিম্নে বর্নিত হল-
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- যে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ডিপিএস হিসাব খুলতে পারেন।
- ব্যাংক নির্ধারিত ফরম আবেদন পূরন করতে হয়।
- নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়।
- যার নামে ডিপিএস হবে তার ছবি অন্য হিসাবধারী দ্বারা সত্যায়িত।
- ভোটার আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স
- গ্রাহক দ্বারা সত্যায়িত নমিনির ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড
- হিসাব খোলার সময় গ্রাহকের সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি।
- নাবলকের পিতা-মাতা নাবালকের পক্ষে নাবালক হিসাব খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে নাবালকের জন্ম সনদের ফটোকপি লাগবে।আর কোর্ট কর্তৃক অভিবাবকত্ব গ্রহন করলে নাবালকের পক্ষে নাবালক হিসাব খোলার জন্য আইনগত অভিভাবকের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি।
এই ধরনের ডিপিএস একাউন্ট সম্পর্কিত যে কোন তথ্য পেতে ভিজিট করুন আমাদের সংযোগইউ প্লাটফর্মে। আমাদের এই প্লাটফর্মে আর্থিক সার্ভিস সম্পর্কিত যে কোন তথ্য জানতে এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন আমাদের ওয়েবসাইটে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
স্টার্টআপ লোনের খুঁটিনাটি বিষয়সমূহ কি কি?
আভিধানিক অর্থে স্টার্টআপ হল নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ কিংবা বানিজ্যিক প্রকল্প। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের তরুনদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় শব্দ হচ্ছে স্টার্ট আপ। এটি এমন একটি উদ্যোগ যেখানে নতুন আইডিয়ার সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে বিদ্যমান কোন সমস্যার অভিনব সমাধান করে একসঙ্গে অনেক মানুষকে পণ্য বা সেবা দেওয়ার। সাধারনত বেশিরভাগ স্টার্টআপে অর্থের যোগান বা বিনিয়োগ হয় উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতারা নিজেই। স্টার্টআপ ও ছোটব্যবসায়ের মধ্যে মূল পার্থক্য হল স্টার্টআপ বৃদ্ধির সম্ভবনা থাকে যেখানে ছোটব্যবসার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। যদিও সম্পদ, বিনিয়োগ ইত্যাদির কারনে স্টার্টআপের সূচনা করতে হয় ক্ষুদ্র পরিসর থেকে। এক্ষেত্রে স্টার্টআপ লোন অনেক উদ্যোগতাদের সাহায্য করতে পারে।
Startup Loan কি?যখন কোন একটি প্রতিষ্ঠান বাজারে নতুন কোন সেবা কিংবা নতুন কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য যে ঋণ নিয়ে থাকে তা স্টার্টআপ ঋণ( Startup Loan) নামে পরিচিত। নতুন ব্যবসা বা উদ্যোগের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। নতুন ব্যবসায় একটি ব্যাংক বা ঋণদাতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ এর সম্মুখীন হতে পারে। যেহেতু নতুন ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব ক্রেডিট থাকে না, তাই ব্যাংক তাদের ব্যবসার ক্রেডিট বিবেচনা করে। ব্যাংকগুলি প্রায়ই স্টার্টআপ লোন অনুরোধ অস্বীকার করে কারণ ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত ঋণ সমস্যা থাকতে পারে। শুধু আইডিয়া থাকলেই কেউ আপনার স্টার্টআপে বিনিয়োগ করতে চাইবেন না। নিজে কিছু একটা করে নিয়ে গেলে বরং মূলধন পাওয়া সহজ হয়।
Startup Loan কারা প্রদান করছে?বাংলাদেশের চলমান সংস্কৃতিতে ব্যবসার ঋণের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রথম আকর্ষণের মাধ্যম ব্যাংক। প্রতিষ্ঠিত কিংবা নতুন উভয় ধরনের ব্যবসার জন্যই বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা আছে। এসএমই ফাউন্ডেশন বর্তমানে ৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। তা ছাড়া অন্যান্য ব্যাংক নিজেদের নিয়মকানুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতিকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন খাতের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে। আপনার উদ্যোগটি যে খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেটির জন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করা উচিত প্রথমে একজন উদ্যোক্তাকে এ ব্যাপারে অবগত থাকা উচিত। এক্ষেত্রে কিছু ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু সুবিধা সমূহ হলোঃ
- আইডিএলসি স্টার্টআপ লোন: স্টার্টআপ লোন ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, ঋণ পরিশোধের সময় হচ্ছে: ৫ বছর।
- বিনা জামানতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। টাকার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হচ্ছে।
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ‘স্মল বিজনেস লোন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্টার্টআপ লোন পাওয়া সম্ভব। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো জামানতের প্রয়োজন হয় না। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৫ বছর, তবে ব্যবসাটির সময়কাল কমপক্ষে ১ বছর হতে হবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য ।
- আইএফআইসি প্রান্ত নারী (উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর লোন): মুলত নারী উদ্যোগতাগন যারা ক্ষুদ্র এবং কুটিরশিল্পের সাথে জড়িত তাদের জন্য এই ঋণ দেয়া হয়। জামদানি, নকশি কাঁথা, বুটিক, বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট, বিউটি পার্লার, ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত এবং ব্যাংকের অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা যারা পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এই বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। একজন নারী উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ২ বছর সেই ব্যবসাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে এই ঋণসুবিধা পাওয়ার জন্য। এটি হচ্ছে মূলত একটি টার্ম লোন। ইকুইটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক: সফটওয়্যার, ফুড প্রসেসিং, অ্যাগ্রো-বেসড ইন্ডাস্ট্রির জন্য।
- আইডিএলসি উদ্ভাবন লোন: সর্বনিম্ন ৫ লাখ, আনসিকিউরড লোন ২৫ লাখ, আংশিক সিকিউরড লোন সর্বোচ্চ ১ কোটি। সর্বনিম্ন ১৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মাস পর্যন্ত এই ঋণের মেয়াদ। যাঁরা বেসিসের সদস্য, তাঁরা এই ঋণ প্রাপ্তিতে বিশেষ সুবিধা পান এবং অগ্রাধিকার ও পান সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ২ বছরের তবে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ বছরের অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট। উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
এছাড়াও ব্যাংকের পাশাপাশি কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী প্রকল্প রয়েছে।
ক্ষুদ্রঋণ:বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এনজিও, যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা বাংলাদেশ ইত্যাদি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ঋণ প্রদান করে থাকছে। তারা মূলত তৃণমূল পর্যায়ে এমন উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে, যাঁদের জন্য ক্ষুদ্রঋণই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
স্টার্টআপের জন্য সরকারি প্রকল্প:বিভিন্ন সময় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধানের উপায় খোঁজে। তা ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্টার্টআপের জন্য মূলধন দেওয়ার সুযোগও পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তা তাঁর আইডিয়াটি জমা দেন, তারপর কমিটি সেটি বিচার–বিশ্লেষণের পর গ্রহণ করলে তহবিল পাওয়া যায়। স্টার্টআপের অর্থায়নের জন্যে এ ধরনের সরকারি প্রকল্পগুলো বেশ কার্যকর। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রায়ই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়। এছাড়া অন্য যে কোন উপায় অবলম্বন করে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব।
Startup Loan কারা নিয়ে থাকছে?সাধারণত নতুন উদ্যোক্তা স্টার্টআপ ঋণের জন্য আবেদন করে থাকে। যদি উপযুক্ত ব্যবসার ধারনা এবং আশানুরূপ আয়ের সম্ভবনা থাকলে ব্যাংক লোন দিতে স্বীকৃতি জানাবে। এছাড়া যথাযথ জামানত ও জামিনদার থাকতে হবে। তবে ব্যবসায়ের প্রথম পর্যায়ে উদ্যোক্তা সীমিত আকারে ঋণ পেয়ে থাকেন। এসএমই খাতে কতিপয় ব্যাংক কোলেটারেল ফ্রি (জামানতবিহীন) লোন চালু করেছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়, তাই সম্পদ ব্যবসার জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলেও মূখ্য বিষয় নয়। সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী অগ্রসর না হলে তাতে বিনিয়োগের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
Startup Loanনেয়ার জন্য Eligibility/উপযোগিতাঃ- বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারী ও গ্যারেন্টার উভয়েরই জাতীয় পরিচয়পত্র থাকনে হবে।
- আবেদনকারী ও গ্যারেন্টার উভয়েরই সদ্য তোলা রঙিন ফটোগ্রাফ থাকতে হবে।
- ব্যাংকের নিজস্ব ফরম সংগ্রহকরন এবং তা যথাযথভাবে পূরন করতে হবে।
- আপডেট ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি থাকতে হবে।
- ব্যবসায়ের টিন নম্বর থাকতে হবে।
- ইউটিলিটি বিল যেমন-গ্যাস বিল, ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল ইত্যাদির ফটোকপি থাকতে হবে।
- ফ্যাক্টরী স্থাপনার রেজিষ্ট্রেশন থাকতে হবে। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- ট্যাক্স ও ভ্যাট, কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন থাকতে হবে।
- ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস রেজিষ্ট্রেশন থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন (যেখানে শিল্পটি প্রতিষ্ঠা করা হবে) ও সম্পত্তি নেয়া হলে তার বৈধ চুক্তিনামা থাকতে হবে।
- ব্যাংকের হিসাব নাম্বার এবং জামানত স্থিতি থাকতে হবে।
- পৌরসভার বাসিন্দা হলে কমিশনারের সনদ। স্থানীয় পর্যায়ের হলে চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ থাকতে হবে।.
- লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমেরেন্ডাম এবং আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশনের কপি এবং অংশীদারী প্রতিষ্ঠান হলে অংশীদারী চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি থাকতে হবে।
- প্রতিষ্ঠান চালু থাকা অবস্থায় ঋণ গ্রহনে ইচ্ছুক হলে ব্যবসার ১ বছরের লাভ ক্ষতির হিসাব বিবরনী দেখাতে হবে।
- প্রতি ব্যাংকের ফর্মে উল্লেখযোগ্য একটি দিক রয়েছে যাকে লেটার অব গেরান্টি বলা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে দুইজন যোগ্য গেরান্টারের সনদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
- প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ করে থাকলে তার হিসাবের একটি হালনাগাদ ও যথাযথ বিবরন থাকতে হবে।
উপরের শর্তগুলো এবং তথ্য-উপাত্ত ব্যাংকে প্রদানের মাধ্যমে স্টার্ট-আপ ঋণের জন্য আবেদন করা সম্ভব। ব্যাংক এ সকল তথ্য উপাত্ত বিবেচনার মাধ্যমে আপনাকে ঋণ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিবে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
আর্থিক যোগাযোগের সম্ভাবনা সমূহ কি কি?
সঠিক আর্থিক যোগাযোগের ফলাফল
গ্রাহকগণ যেমন সঠিক আর্থিক সার্ভিসটি খুঁজে পাবে, অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুঁজে পাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের। এতে করে গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠান উভয়ে উপকৃত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে এর ফলস্বরুপ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহকদের মাঝে একটি ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। এছাড়াও দেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
সঠিক সার্ভিস নির্বাচন
আর্থিক সার্ভিসের মধ্যকার তুলনা এবং সকল আর্থিক সার্ভিসের বিবরণী অনলাইনে পর্যালোচনা করার মাধ্যমে খুব সহজেই সঠিক আর্থিক সার্ভিস নির্বাচন করার সুযোগ পাবে গ্রাহকগণ। এতে করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবার সম্ভাব্যতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। এর বাইরেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত সকল সার্ভিসের ব্যাপারে এক প্রকার সচেতনতা সৃষ্টি হবে গ্রাহকদের মধ্যে।
সঠিক সময়ে সার্ভিস গ্রহন
আর্থিক সার্ভিস সঠিক সময়ে না পাওয়াটাও যোগাযোগ বিচ্ছিনতার একোটু মূল কারণ। যথাসময়ে আর্থিক সার্ভিস পেতে অনেকেরই হিমসিম খেতে হয়। তাই বলাই যায় সঠিক সময়ে আর্থিক সার্ভিস পেলে আর্থিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেশি সুদৃঢ় হবে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও বাড়বে।
এছাড়াও সঠিক আর্থিক সার্ভিস পেলে গ্রাহকদের মধ্যে যথাসময়ে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে এছাড়াও উদীয়মান ও নতুন ব্যবসা এবং উদ্যোগসমূহ টিকে থাকবে। এতে করে সবক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেশি গতিশীল হবে।
অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ গ্রাহক পাবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে এতে করে সেরা আর্থিক সেবা প্রদানের একটি প্রতিযোগীতার সৃস্টি হবে যার ফলস্বরুপ গ্রাহক পর্যায় উপকৃত হবে। এছাড়াও আর্থিক সেবার মান উন্নয়নে নতুনত্ব দেখা যাবে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে যথাযথ ধারণা পাবে। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরও বেশি ডিজিটালাইজেশন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করবে।
সকল ধরনের আর্থিক সুযোগ সুবিধা সহজ করা এবং আর্থিক সার্ভিস প্রদানকারী ও গ্রাহকদের মধ্যে সঠিক যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে তুলার কার্যক্রম নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম “সংযোগইউ (SHONGJOGyou)”। সংযোগইউ হচ্ছে অনলাইন ই-ফিন্যান্স সার্ভিস প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে ঋণ সহ যে কোন আর্থিক সার্ভিস সম্পর্কিত সকল তথ্য জানা যাবে। আপনার এলাকার সকল আর্থিক সার্ভিসের ব্যাপারে জানতে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং খুঁজে নিন আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী উপযুক্ত আর্থিক সার্ভিসটি। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
সঠিক আর্থিক সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা কি?
সঠিক আর্থিক সার্ভিস যেমন আয়বর্ধকে সহায়তা করে অন্যদিকে ভুল আর্থিক সার্ভিস আয় নিরোধক হিসেবে কাজ করবে। এর মানে হলো সঠিক আর্থিক সার্ভিস বাছাই না করতে পারলে সেবাটি গ্রাহকের ক্ষেত্রে মঙ্গল বয়ে নাও আনতে পারে। আর্থিক সার্ভিসটি সে ক্ষেত্রে বোঝাস্বরূপ কাজ করবে। সঠিক আর্থিক সার্ভিস ব্যক্তিগত, ব্যবসা কিংবা সর্বোপরি আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা আনতে পারে।
আর্থিক সেবা/সার্ভিস কি?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক সার্ভিস বলতে ব্যাংক বা যে কোন আর্থিক ক্ষাতে জড়িত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গ্রহন করা সার্ভিসকেই বুঝিয়ে থাকে। আর্থিক সার্ভিসের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং স্বাবলম্বী করে তোলা। আর্থিক সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সুপরিচিত আর্থিক সার্ভিস হলো লোন বা ঋণ সেবা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহক ব্যক্তিগত, ব্যবসায়ীক, উদ্যোগ, শিক্ষা প্রভৃতি উদ্দেশ্যে ঋণ সেবা নিয়ে থাকে। কিন্তু যথাযথ ঋণ সেবা গ্রহন করতে না পারাতে ঋণ “সেবা” বদলে পরিণত হয় “বোঝা”। এতে করে গ্রাহকের উপরে নেমে আসতে পারে অযাচিত চাপ। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকা বর্তমানে মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ভুল আর্থিক সার্ভিসের ফল
গ্রাহক যেখানে আর্থিক সার্ভিস গ্রহনের পর আশা করে থাকেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং স্বাবলম্বী হবার কিংবা ব্যবসা সম্প্রসারণের সেক্ষেত্রে আর্থিক পরিসেবাগুলো গুরুত্বপূর্ন দ্বায়ীত্ব পালন করে থাকে। গ্রাহকের আয় বাড়ুক অথবা না বাড়ুক, ঋনের জন্য ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে যদি গ্রাহক ভুল আর্থিক সার্ভিস গ্রহন করে থাকে তাহলে তার ঋন পরিষোধে বেশি পরিমানের অর্থ খরচ করা লাগবে। এছাড়া প্রতিমাসেই ঋনের কিস্তি পরিশোধ করার জন্য একটা আলাদা অংকের টাকা প্রস্তুত রাখতে হয়। গ্রাহক এক্ষেত্রে অক্ষম হয়ে পড়লে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হতে বিভিন্নভাবে চাপ আসতে থাকে। এছাড়াও আয়ের তুলনায় ব্যয়ভার বেড়ে গেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় গ্রাহকদের।
এক্ষেত্রে সঠিক আর্থিক সার্ভিস বাছাই করার অনলাইন প্লাটফর্ম হলো “সংযোগইউ (SHONGJOGyou)”। সংযোগইউ হচ্ছে একটি অনলাইন ই-ফিন্যান্স সার্ভিস প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে ঋণ সহ যে কোন আর্থিক সার্ভিস সম্পর্কিত সকল তথ্য জানা ও গ্রহন করা সম্ভব। আপনার এলাকার সকল আর্থিক সার্ভিসের ব্যাপারে জানতে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং খুঁজে নিন আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী উপযুক্ত আর্থিক সার্ভিসটি। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
ব্যাংক কার্ড কী, কেন ও কীভাবে?
জনাব রফিক সাহেবের ব্যাংক একাউন্টে অনেক টাকা জমা ছিল। রাতে তার বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ফলে দ্রুত তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল। সমস্যা হল রফিক সাহেবের হাতে সেদিন পর্যাপ্ত নগদ টাকা ছিল না। রাত হয়ে যাওয়ার কারনে ব্যাংক ও বন্ধ ছিল। সে সময় বিপদের বন্ধু হয়েছিল তার ব্যাংক কার্ডটি। ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে তিনি অনলাইনে যথাসময়ে ঔষধ ক্রয় করে পেমেন্ট দিতে পেরেছিলেন, এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা তুলতে পেরেছিলেন, পস মেশিনের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন।
ব্যাংক কার্ড কি?ব্যাংক কার্ড হ'ল ডিপোজিটরি, স্যালারি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে জারি করা কোনও কার্ড, যেমন এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড। কখনও কখনও এই শব্দগুচ্ছটি ভিসা এবং মাস্টারকার্ডকে উল্লেখ করার জন্যও ব্যবহৃত হলেও যেহেতু এগুলো ব্যাংকগুলোতে জারি করা হয় তবে তারা ক্রেডিট কার্ড এবং কোনও ডিপোজিটরি অ্যাকাউন্টের সাথে সরাসরি লিঙ্কিত হয় না। ব্যাঙ্ক কার্ডগুলি তাদের ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে পারে; কিছু কেবল এটিএম মেশিনে বা নির্দিষ্ট ক্রয়ের জন্য ব্যবহার করা যায়। বেশিরভাগ ব্যাংকের এটিএম কার্ড ব্যবহার করার জন্য একটি পিনও প্রয়োজন। ব্যাংক কার্ড ডেভিট কার্ড ও হয় আবার ক্রেডিট কার্ড ও হয়।
এটিএম বুথের মাধ্যমে কার্ড সেবা কি?এটিএম শব্দের অর্থ হচ্ছে অটোমেটেড টেলার মেশিন। এটিএম সার্ভিস চালু হওয়াটা আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাংকের ব্যবহার খুবই জরুরি। আমরা যখন ব্যাংকে কোন অ্যাকাউন্ট খুলি ব্যাংক আমাদেরকে সাথে সাথে না দিলে ও কিছুদিন পরে একটি কার্ড দিবে কারন আমরা একাউন্টে যখন টাকা রাখব, টাকা জমা দিব সেই টাকা গুলো আমাদের কোন না কোন খাতে খরচ করতে হবে সেইজন্য টাকা উঠাতে হবে। টাকা উত্তোলন করার প্রসেস যে কোন দিন যে কোন জায়গায় ব্যাংক আওয়ারের বাইরে হোক কিংবা বন্ধের দিন হোক অর্থাৎ 24 ঘন্টা 7 দিনই যেখানে বুথ আছে আপনি এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহককে তার ব্যাংক কার্ডটি কার্ডরিডারে প্রবেশ করে পিনকোর্ড দিয়ে গ্রাহক তার চাহিদামত অপশনে প্রেস করে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এটিএম কার্ড আবার ২ প্রকার। যেমন – ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড।
ডেবিট কার্ডডেবিট কার্ড বলতে আমরা বুঝি, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত অ্যাকাউন্টে টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যবহৃত এটিএম কার্ড। পারবেন।তাছাড়া অনলাইন শপিং, টিকেট পারচেস, অনলাইন পেমেন্ট, এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায় ইত্যাদি সার্ভিস ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ডক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করা বৈদ্যুতিক মেশিনের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের অন্যতম সাধারণ পদ্ধতি। ক্রেডিট কার্ডগুলি সাধারণত একটি অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত একটি অনন্য সংখ্যার সাথে ছোট প্লাস্টিকের কার্ড হয়। ক্রেডিট কার্ড এমন একটি কার্ড যা লোকে নগদ ছাড়াই আইটেম কিনতে পারে।
আরো কিছু কার্ডের ব্যবহার পরিলক্ষিত নিম্নে সে সর্ম্পকে আলোচনা করা হল:
ডুয়াল কারেন্সি কার্ডযে কার্ডে দুইটি কারেন্সি একই সাথে সমর্থন করে ডুয়াল কারেন্সি কার্ড হচ্ছে এমন একটি কারেন্সি কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি আলাদা আলাদা ভাবে আপনি দুই ধরনের মুদ্রা ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যাংকে যোগাযোগ করুন অথবা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আপনার কার্ডটির ফিচার দেখে নিন এবং আপনার কার্ডটি ডুয়াল কারেন্সি সমর্থন করে কিনা তা জানতে
ব্যাংক কার্ড সেবা দিচ্ছে কারা?বাংলাদেশের প্রায় সকল সরকারি ও বেসরকারি সকল ব্যাংক কার্ড সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাংক সমূহ হল- জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইষ্টার্ন ব্যাংক, সাউথ ইষ্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, পূবালি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক সহ আরো অনেক ব্যাংক কার্ড সেবা দিচ্ছে ।
কার্ড পাওয়ার জন্য Eligibilityকার্ড পাওয়ার জন্য যে সকল eligibility এর প্রয়োজন নিম্নে তা বর্নিত হল-
১) আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২) একাউন্ট ওপেনিং ফরম সঠিক তথ্য দিয়ে পূরন করে আবেদনকারীকে স্বাক্ষর করতে হবে।
৩) জাতীয় পরিচয় পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।
৪) ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি (গ্যাস বিল, ইলেকট্রিক বিল, ওয়াসা বিল) থাকতে হবে।
৫) বৈধ ইন্ট্রোডিউসার।
৬) ইন্ট্রোডিউসার কর্তৃক সত্যায়িত গ্রাহকের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ।
৭) ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত প্রাথমিক জমা।
৮) আয়ের উৎস প্রমানের জন্য ভিজিটিং কার্ড/জব আইডি (গ্রাহক চাকরি করলে)
৯) স্টুডেন্ট আইডি (গ্রাহক স্টুডেন্ট হলে)
১০) ই-টিন সার্টিফিকেট (ব্যবসায়ী হলে)।
এটিএম কার্ড ছাড়াও ব্যাংকের বিভিন্ন সার্ভিস এবং সেবাসমূহ নিয়ে কাজ করছে সংযোগইউ (SHONGJOGyou) প্লাটফর্মটি। এই প্লাটফর্মে আপনি পাবেন নিকটস্থ সকল ব্যাংকের আর্থিক সার্ভিসগুলো একসাথে। যেকোন লোন সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য পেতে ভিজিট করুন: shongjogyou.com এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।